বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২

আমাদের দেশের কয়েকজন শিকারি ও শিকার কাহিনি।

শিকার কাহিনি পড়তে ভালবাসেন এমন লোকের সংখ্যা কম নয়। শিকার কাহিনির উত্তেজনা এবং থ্রিল ড্যান ব্রাউন কিংবা আয়ান ফ্লেমিং এর লেখা গল্প-উপন্যাস থেকে কম নয়। অন্যদিকে শিকার কাহিনি সত্য ঘটনা। সেই সঙ্গে জ্ঞান বৃদ্ধিও করে। আমাদের দেশে অনেকই শিকারী হিসেবে চিনেন জিম করবেট আর কেনেথ এন্ডারসনকে। এরা শিকার করেছেন যথাক্রমে উত্তর ও দক্ষিন ভারতে। কিন্তু আমাদের বর্তমান বাংলাদেশেই যে একসময় মাত্র ৩০-৪০ বছর আগেও প্রচুর শিকার এর ঘটনা আছে এবং সেগুলিও বিদেশি শিকারিদের কাহিনি থেকে কম আকর্ষনিয় নয়। আমাদের দেশিয় শিকারীদের রোমহর্ষক কাহিনির কয়েকটি বইও আছে। আমাদের দেশের কয়েকজন সাহসি শিকারি ও তাদের শিকার জিবনের কিছু পরিচিতি দেয়ার চেষ্টা করছি।

১.সুন্দরবনের মানুষ খেকো।-পচাব্দি গাজী। অনু লেখনে হুমায়ুন খান।
বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ শিকারি হিসেবে পচাব্দি গাজীর নাম অনেকেই শুনেছেন। পচাব্দি গাজীর আসল নাম আবদুল হামিদ গাজী। সুন্দরবনের প্রান্তে সাতক্ষিরা জেলার শ্যামনগর থানায় তার পৈতৃক বাড়্ী। তারা বংশানুক্রমে শিকারি। তিনি প্রায় ৬০ টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও পচিশটি কুমির শিকার করেছেন প্রায় পঞ্চাশ বছর বিস্তৃত তার শিকার জীবনে। এর মধ্যে বিশটির বেশি ছিল ভয়ংকর মানুষখেকো। এই বইটিতে পচাব্দি গাজীর সাতটি মানুষখেকো বাঘ শিকারের কাহিনি রয়েছে। আর একটি অধ্যায় রয়েছে সুন্দরবনের পরিবেশ ও প্রানিদের নিয়ে লেখা এবং অন্য একটি অধ্যায় আছে পচাব্দি গাজীর শিকারি জিবনের কিছু উল্লেখ যোগ্য ঘটনা। যার মধ্যে আছে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান ও নেপালের রাজা মহেন্দ্রর সাথে তার শিকারের কাহিনী। মানুষখেকো বাঘ শিকারের কাহিনী গুলির মধ্যে গোলখালির বিভিষিকার কাহিনীটি অত্যন্ত মর্মস্পর্শি। এই বাঘটির হাতে নিহত হন পচাব্দি গাজীর ছোটদাদা অর্থাত তার বাবার চাচা ইসমাইল গাজী । তার বাবা মেহের গাজী মারাত্মক আহত হন এবং চাচা নিজামদি গাজী তার এক হাত হারান। তথাপি শেষ পর্যন্ত পচাব্দি গাজী এই বাঘটি শিকার করতে সমর্থ হন। এটি ছিল তার প্রথম মানুষখেকো বাঘ শিকার। পচাব্দি গাজীর শিকার জীবনের ১৯৭১ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য শিকারের ঘটনাগুলি সংকলিত হয়েছে এই বইয়ে। ১৯৭১ সালের পরেও তিনি দুয়েকটি মানুষখেকো বাঘ শিকার করেছিলেন। এই বইটির অনু লেখক সাংবাদিক-সাহিত্যক হুমায়ুন খান সরাসরি পচাব্দি গাজীর মুখ থেকে শুনে এই বই যের ঘটনাগুলি লেখেছেন। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় সেবা প্রকাশনি থেকে সুলভ সংস্করন হিসেব। এরপর খান ব্রাদার্স থেকেও বইটির হোয়াইট প্রিন্ট সংস্করন প্রকাশিত হয়। বর্তমানে প্রজাপতি প্রকাশনি থেকে বের হওয়া হোয়াইট প্রিন্ট সংস্করন টি পাওয়া যায়। তবে এটিও খুব কম দোকানেই আছে। আগ্রহিরা বাংলা বাজার কিংবা সেগুনবাগিচায় সেবা প্রকাশনির শো-রুম ও অফিসে খোজ নিয়ে দেখতে পারেন। সুন্দরবন এবং এর রাজা রয়েল বেঙ্গল টাইগার সম্পর্কে যারা আগ্রহী তাদের জন্য এই বই অবশ্যপাঠ্য। শহুরে তথাকথিত গবেষক বা প্রানি প্রেমিদের তুলনায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার সম্পর্কে সুন্দরবনের প্রান্তে বসবাসকারী পুরুষানুক্রমে শিকারী পচাব্দি গাজী অনেক বেশি জ্ঞান রাখেন। পচাব্দি গাজীর শিকারের খ্যাতি পাকিস্তান আমলেই দেশে ও দেশের বাইরে বিস্তৃত হয়। তাকে প্রথম মিডিয়ায় পরিচিত করে তুলেন সাংবাদিক মরহুম তোহা খান। পাকিস্তান আমলে একবার টেলিভিশনে তার সাক্ষাতকার প্রচারিত হলেও পরে আর কোন টিভি রেকর্ড সম্ভবত তার নাই। বাংলাদেশ আমলে তার নাম লোকে প্রায় বিস্মৃত হয়ে যান। কিছূ তথাকথিত প্রানি প্রেমিকের অদ্ভুদ দাবিকে মান্য করে সরকার বৈধ শিকার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেন তবে চোরা শিকার বনবিভাগের কর্মকর্তাদের সহয়তায় এখনও জারি আছে। সেই সঙ্গে বিখ্যাত শিকারিরাও হারিয়ে যান মানুষের মন থেকে। একদিকে চোরা শিকার ও বন কেটে লোক বসতি বিস্তারের কারনে সুন্দরবনে বাঘের আবাসস্থল কমে যাচ্ছে। অন্য দিকে একই কারনে খাদ্যের অভাব হওয়ায় বাঘ তার স্বাভাবিক খাদ্য ছেড়ে মানুষ খেকো হয়ে উঠছে। আর এই মানুষখেকো গুলি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে আমলাতান্ত্রিক দির্ঘ সুত্রিতার কারনে এগুলিকে মারা যাচ্ছেনা। আর অন্যদিকে মানুষখেকো বাঘের অত্যাচারে বিরক্ত মানুষেরা পিটিয়ে বা বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলছে কিছু নিরিহ বাঘকেও। পচাব্দি গাজীর কোন উত্তরাধিকারি শিকারি থাকলে হয়তো এভাবে অপ্রয়োজনিয় বাঘ হত্যা এড়ানো যেত।

২.”শিমুলতলার নরখাদক”,”মানিগার নরখাদক”,”জানোয়ারের খাস মহল”।-আবদুর রহমান চেীধুরি।
সুনামগঞ্জের সেলবরষ এর জমিদার পরিবারের সন্তান ছিলেন আবদুর রহমান চেীধুরি। তিনি ৪৯ বেঙ্গলিজ রেজিমেন্ট এ যোগদেন এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। এ সময় তার সহকর্মি ছিলেন জাতিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। পারিবারিক ভাবেই শিকারের দিকে ঝোঁক ছিল তার। তিনি এক ডজনের মত বাঘ শিকার করেছেন। এর মধ্যে কয়েকটি ছিল মানুষখেকো এবং বাকিগুলিও লোকালয়ে উৎপাতকারী বাঘ। এই বাঘ শিকারের ঘটনাগুলি তার নিজের লেখায়ই পঞ্চাশের ও ষাটের দশকে দৈনিক আযাদ, মাহে নও প্রভৃতি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। পরবর্তিতে মুক্তধারা প্রকাশনি থেকে তার শিকার কাহিনি নিয়ে তিনটি বই ”জানোয়ারের খাস মহল”,”শিমুলতলার নরখাদক”ও ”মানিগার নরখাদক” প্রকাশিত হয়। তিনি সর্বশেষ বাঘ শিকার করেন ১৯৫৫ সালে। তার লেখা অত্যন্ত সুখপাঠ্য। ”শিমুলতলার নরখাদক” বইটিতে একটি মানুষখেকো বাঘের বিবরন দেয়া হয়েছে যে বাঘটি অলেীকিক শক্তির অধিকারি ও অবধ্য বলে পরিচিত হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দক্ষ শিকারি আবদুর রহমান চেীধুরির হাতে বাঘটির মৃত্য হলেও লোকজন সেটাকেও একটি অলেীকিক কান্ডে পর্যবসিত করেছিল যা পড়ে পাঠকরা বেশ কেীতুক অনুভব করবেন। দুঃখ ও দুর্ভাগ্যের কথা হচ্ছে তিনি যে বনে এই বাঘগুলি শিকার করেছিলেন সেই বন তার জিবিতকালেই সম্পুর্ন ধ্বংস হয়ে গেছে। সিলেট ও সুনামগন্ঞ্জের উত্তরে প্রায় পাচশত বর্গমাইল জুড়ে থাকা এই বনাঞ্চল সিলেট ও সুনামগঞ্জকে মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের হাত থেকে রক্ষা করত। এই বনাঞ্চল ধ্বংসের কারনে এখন প্রতি বছর সুনামগঞ্জ এলাকায় বন্যা ও ঢলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। ২০০৪ সালে এই পাহাড়ি ঢলের তিব্রতা ও ধ্বংসকারী শক্তি আমি(ব্লগ লেখক) নিজে প্রত্যক্ষ করেছি। তিনি কখনই অযথা কোন বাঘ শিকার করেননি। শুধূমাত্র মানুষখেকো ও লোকালয়ে উৎপাতকারি বাঘ শিকার করেছিলেন। বর্তমানে তাহিরপুর,জামালগঞ্জ ও ধর্মপাশা উপজেলা অঞ্চলে বিস্তৃত লাউর ও মাহরাম পরগনা নামে পরিচিত এই বনাঞ্চল ষাটের দশক থেকেই কাটা শুরু হয় এবং আশির দশকে পুরোপুরি নিশ্চিন্হ হয়ে যায়। আবদুর রহমান চেীধুরির লেখা বইগুলির সম্পদক খলিল চেীধুরি বইগুলির শেষে এই ধ্বংসকান্ডের বিস্তারিত বিবরন দিয়েছেন। একজন শিক্ষিত ও দক্ষ শিকারি আবদুর রহমান চেীধুরি ষাটের দশকের পর আর শিকার করেননি উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায়। ১৯৮০ সালে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার বইগুলি এখন খুব দুস্প্রাপ্য।
৩.যখন শিকারি ছিলাম-এনায়েত মাওলা
এনায়েত মাওলা একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা। চট্টগ্রাম বন্দরে ১৯৭১ সালে নেী কমান্ডো অপারেশন এ তার বিশেষ অবদান আছে। একসময় কাঠ ও ফার্নিচার শিল্পের সাথে জড়িত ছিলেন। তার আগে চাকরি করতেন রেডিওতে। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে বাঘ ও হাতি সহ বেশ কিছু শিকার করেছেন। কাপ্তাই বাধ তৈরির সময় বাধের পানি ভরার এলাকা থেকে গাছ কেটে নেয়ার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ১৯৫০ সালে তিনি প্রথম যে চিতাবাঘ টি শিকার করেছিলেন তার কথা এখন হয়তো অনেকে বিশ্বাস করবেননা। কারন তিনি এই বাঘটি শিকার করেছিলেন বর্তমান বিমান বন্দরের কাছে এক জায়গায়। যেখানে এখন বাঘ দুরে থাক কাক ছাড়া আর কিছু নাই। আর সেখানে এখন জঙ্গল গাছপালার নয় ইট-কংক্রিটের। সেসময় তার এই শিকারের কথা রেডিওতে প্রচারিত হয়েছিল এবং পত্রিকাতেও এসেছিল। আরেকটি বাঘ শিকারের কাহিনীও আমাদের মত নতুন প্রজন্মের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হবে। কারন এই ঘটনাটি ছিল বর্তমান মিরপুরে। এনায়েত মাওলার এই বইটির "লেখকের কথা" অধ্যায়ে এই ঘটনা দুটি আছে। তিনি বাংলাদেশের প্রধান শিকারের এলাকা সুন্দরবন,পুর্ব সিলেট এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শিকার করেছেন। তার বইটিতে সিলেটের শিকার নিয়ে চারটি,চট্টগ্রাম অঞ্চলের শিকার নিয়ে চারটি এবং সুন্দরবনের দুটি কাহিনী আছে। শিকার ছাড়াও এখানে পার্বত্য চট্টগ্রামের গহিন অরন্য থেকে কাঠ আহরন সহ বিভিন্ন ঘটনা ও স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে একটি উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে শঙ্খ নদীর উজানের দিকে তার অভিযানের ঘটনা। তার বইটিতে বর্নিত এলাকাগুলির মধ্যে শঙ্খ নদির উজানের যে বর্ননা তিনি দিয়েছেন এখনও অনেকটা তা অটুট আছে। সুন্দরবন ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে এখন আর বেশি বন-জঙ্গল নেই। রত্না ও সাগরনাল চা বাগানের যে এলাকায় শিকারের কথা তিনি লিখেছেন তার কাছেই অবস্থিত মাধবকুন্ড এখন বিভিন্ন টুরিস্ট স্পট ও লোক বসতি তৈরি হয়ে আগের বিস্তৃত বন আর নাই। এই বইটির আরেকটি বিশেষত্ব দুটি হাতি শিকারের কাহিনী। আমেরকিান জেনারেল ভ্যান ফ্লিট এর শিকার করা যে বাঘটির কথা আছে সেটাই সিলেট অঞ্চলের রেকর্ড করা শেষ বাঘ অর্থাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখা যাওয়ার রেকর্ড। এরপর সিলেটে আর বাঘ দেখা যায়নি। চট্টগ্রামের শেষ রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখা যাওয়ার রেকর্ড আছে ১৯৮১ সনের।
বইটির শুরুতে কয়েকটি ছবি আছে লেখকের ও প্রকৃতির যা বইটির আকর্ষন আরো বৃদ্ধি করেছে। বইটি প্রকাশ করেছে সাহিত্য প্রকাশ। এনায়েত মাওলা আরো কিছু শিকার করলেও তার উল্লেখযোগ্য সব শিকার কাহিনিই এই বইটিতে আছে।

৪.চট্টগ্রামের শিকার কাহিনি। এরশাদউল্লাহ খান।
এরশাদউল্লাহ খান বাংলাদেশ ব্যাংক এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এই বইটি চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শিকারের ঘটনা গুলি সংগ্রহ। লেখক নিজেও একজন শিকারি। বইটির বিশেষত্ব হচ্ছে তুলনামুলক বর্তমান কালের শিকারের ঘটনার বিবরন। তবে বৃটিশ আমলের শিকারের কাহিনিও এতে আছে। আছে চুনতি অভয়ারন্য সম্পর্কে একটি অধ্যায়। খান বাহাদুর কবিরউদ্দিন আহমদ এর লেখা নিজের শিকারের কাহিনী একটি আলাদা অধ্যায় হিসেবে রয়েছে। রয়েছে চট্টগ্রাম অঞ্চলের কয়েকজন বিশিষ্ট শিকারী রশিদুল্লাহ খান, ইসরাইল খান(সরকারি কর্মকর্তা,কবি সুফিয়া কামালের দেওর),চুনতির বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ব হাজি সৈয়দ সাহেব, অধ্যাপক হাবিবুর রহমান(পাকিস্তান ও বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ছিলেন) সহ কয়েকজন শিকারির অভিজ্ঞতার বিবরন। দক্ষিন চট্টগ্রামের পাহাড়ি অরন্যের বিবরন খুবই আকর্ষনিয় মনে হবে পাঠকের কাছে। জীবন প্রকাশনি হতে প্রকাশিত বইটি আকারে ছোট হলেও চট্টগ্রাম অঞ্চলের শিকার কাহিনী ও পুরনো আমলের প্রধান শিকারিদের সম্পর্কে জানার একমাত্র উৎস এখনও পর্যন্ত। ছোট ছোট শিকার কাহিনি গুলি ছাড়াও চুনতি অভয়ারন্য নিয়ে লিখা অধ্যায়টিতে এ অঞ্চলে পরিবেশ ও পর্যটন সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। একদিকে বৈধ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা অন্যদিকে চোরা শিকার কিভাবে নষ্ট করছে পরিবেশ তার বিবরন দেয়া হয়েছে। আর অপরিকল্পিত বসতি স্থাপনের জন্য খাদ্যাভাবে বন্যপ্রানী কিভাবে বসতিতে এসে ক্ষতি করছে এবং এক পর্যায়ে নিজেও মৃত্যবরন করছে তার কথা আছে এই বইটিতে। তথাকথিক পরিবেশবাদী দের চেয়ে অনেক বেশি যুক্তি সহকারে এই বিষয়গুলির সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এই বইগুলিতে।
৫. বনের স্মৃতি –আলী আকবর কোরেশী।
এটি ঠিক শিকার কাহিনী নয়। লেখক বনবিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। পাকিস্তান ফরেস্ট ইন্সটিটিউট থেকে ফরেষ্ট্রিতে গ্রাজুয়েট আলী আকবর কোরেশী ১৯৬০ সালে বনবিভাগে রেঞ্জার হিসেবে যোগ দেন। চট্টগ্রাম,মধুপুর গড়,সিলেট এবং সুন্দরবন এলাকায় তার দায়িত্ব পালনের সময় বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য ঘটনÍ স্মৃতি নিয়ে লেখা এই বইটি বেশ আকর্ষনিয়। দায়িত্ব পালনের সময় করা ছোট ছোট শিকার এবং প্রানী ধরার কাহিনি রয়েছে বিভিন্ন অধ্যায়ে। শিকারী পচাব্দি গাজীর সাথে লেখকের একটি শিকার কাহিনিও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে। পোষা হরিনের আক্রমনে লেখকের ছোট ভাইর আহত হওয়া ও পরে মৃত্যর করুন কাহিনী খুবই মর্মস্পর্শি । নিজের জিবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখা আলী আকবর কোরেশীর এই গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে সাহিত্য প্রকাশ।
 

1 টি মন্তব্য:

  1. এরশাদউল্লাহ খান, আবদুর রহমান চেীধুরি ও এনায়েত মাওলা -র বই গুলো খূজে পাচ্ছি না । ফটো কপি বা স্ক্যান কপি কই স্নগ্রহ করা যাবে ? www.facebook.com/ilajar.islam

    উত্তরমুছুন