বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২

মিসরের বর্তমান সরকারের নিতি এবং ইসলামি রাষ্ট্র

এক শহরে বসবাস করত দুই বন্ধু। একজন মুসলিম একজন খ্রিষ্টান। মুসলিম বন্ধুটির উৎসাহে আর আচরনে মুগ্ধ হয়ে খ্রিষ্টান বন্ধুটি একসময় ইসলাম ধর্ম গ্রহন করল। তারপর রাত্রে ঘরে এসে সে ঘুমিয়ে পড়ল। গভির রাত্রে তার দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ হলো। ঘুম থেকে উঠে সে দেখল তার মুসলিম বন্ধুটি এসেছে। মুসলিম বন্ধুটি তার নওমুসলিম বন্ধুটিকে বলল তার সাথে মসজিদে যেতে। অবাক হয়ে নওমুসলিম বন্ধুটি তাকে বলল এখনও তো ফজর এর আজান দেয়া হয়নি। মুসলিম বন্ধুটি তাকে বলল তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় এর জন্য এখনই মসজিদে যাওয়া প্রয়োজন। নওমুসলিম খুশি মনে উৎসাহের সাথে বন্ধুর সঙ্গে মসজিদে গেলো ও তার সাথে নামাজ আদায় করল। ফজরের নামাজের পর সে যখন মসজিদ হতে বের হয়ে যেতে লাগল তখন তার পুরোন মুসলিম বন্ধু তাকে বলল যে এখন বাইরে অন্ধকার আছে সুতারাং এখনই বাইরে না গিয়ে মসজিদে বসে জিকির করতে। নওমুসলিম বন্ধুটি খুশি মনে ই জিকির করা শুরু করল। সুর্যোদয়ের পর পুরোন মুসলিম টি একটি কুরআন শরিফ এনে বলল সুর্যোদয়ের পর কিছুক্ষন কুরআন শরিফ পাঠ করা ভাল। বেচারা নওমুসলিম কুরআন শরিফ পাঠ করতে শুরু করল। কিছুক্ষন পর পুরোন মুসলিম বলল আজকে রোজা রেখে দাও সেটাই ভাল হয়। নওমুসলিম বন্ধু একটু ভিত হলেও মেনে নিল।দেখতে দেখতে জোহর এর সময় হয়ে গেলো। জোহরের নামাজের পর নওমুসলিম বন্ধুটি আবার মসজিদ থেকে বের হতে চাইলে পুরোন মুসলিম বন্ধুটি তাকে বাধা দিয়ে বলল যেহেতু তুমি রোজা রেখেছ খাওয়ার প্রয়োজন নাই। সুতারাং এস আমরা আসর নামাজ পর্যন্ত মসজিদে বসি। আসর নামাজের পর তারা মাগরিব পর্যন্ত বসে থাকল মসজিদে। পানি খেয়ে ইফতার করে নামাজ আদায় করল তারা। নামাজের পর ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত নওমুসলিম বন্ধুটি বিদায় নিতে চাইলে পুরোন মুসলিম তাকে জোড় করেই ধরে রেখে বলল অল্প সময় পর এশার নামাজ আছে সেটা আদায় করেই বের হতে। অগত্যা এশার নামাজ পরে নওমুসলিম বন্ধুটি বাড়ি ফিরে গেলো। পরের রাতেও পুরোন মুসলিম বন্ধুটি আবারও নওমুসলিম বন্ধূটিকে ডাকতে এলে নওমুসলিম বন্ধূটি বলল যে আমি তো গতরাতেই সে ধর্ম ত্যাগ করেছি যা আমাকে সংসার থেকে বিচুত্যকরে ও বিশ্রামহিন ধর্ম অনুসরন করতে বলে।
এই গল্পটি বলে ইমাম জাফর সাদিক তার ছাত্রদের বলেছিলেন বেশি বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে একজন নওমুসলিমকে ইসলাম থেকেই দুরে সরিয়ে দেয়া হলো। কারো শক্তি সামর্থ ও মানসিক অবস্থা বিবেচনা নাকরে যদি ধর্ম পালনে বাধ্য করা হয় তাহলে ইসলামের প্রতি তার আকর্ষন থাকবেনা। বরং তার সামর্থ অনুযায়ি চললেই সে ইসলামের প্রতি আরো আকৃষ্ট হবে এবং আরো ভাল মুসলিম এ পরিনিত হবে।

একটি দেশের জনগন যখন ইসলাম এর সকল বিধান পুরোপুরি গ্রহনের প্রস্তুত কিনা তা বিবেচনা না করে তার উপর যদি জোর করে চাপিয়ে দেয়া হয় তার ফলাফল ভাল হয়না। আমাদের সামনেই আফগানিস্তান এর উদাহরন আছে। আফগানিস্তানে সরকারি নিতির বিরোধি লোকের সংখ্যা যথেষ্ট থাকায় দখলদার বাহিনী সেখানে আক্রমন করতে সাহস পেয়েছিল। কিন্তু তর্জন-গর্জন করলেও ইরানে এখনই হামলা করছেনা কারন ইরানে আভ্যন্তরিন সহায়তা পাওয়ার সুযোগ খুবই কম। মিসরের সামাজিক অবস্থা যা তাতে প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসি যে নিতি গ্রহন করেছেন তা অবশ্যই েযীক্তিক ও ইসলাম বিরোধি নয়। যারা তার বিরুদ্ধে ইসলাম বিরোধিতার অভিযোগ আনছেন তারা কি এটাই চান যতদিন সকল মানুষ ইসলাম পরিপুর্ন অনুসরন করতে প্রস্তুত হবেনা ততদিন মুসলিমদের রাষ্ট্রক্ষমতা নেওয়ার প্রয়োজন নাই?
সেক্ষেত্রে ইসলাম কোনদিনই প্রতিষ্ঠিত হবেনা। কারন বাতিল সরকার ইসলাম প্রচার করতেই দেবেনা।

1 টি মন্তব্য:

  1. Play Slots Online - Lucky Club
    Play slots online with Lucky luckyclub Club - the #1 UK casino site offering all the best online slots games and Enjoy exciting slots games for FREE, No deposit required!

    উত্তরমুছুন