বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২

বিজয়ি বাংলাদেশ। বিজয়ি ক্রিকেট।

ক্রিকেট ইজ এ গেইম অফ গ্লোরিয়াস আনসারটেইনিটি" অর্থাত "গেীরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেট"।
আজকের খেলায় যেনো সেই কথাই আবার প্রমানিত হলো। এরকম প্রতিদন্বিতাপুর্ন ম্যাচ খূব কমই হয়েছে। যখন ১৬৭ রানে অষ্টম উইকেট চলে গেলো অনেকেই খেলা সম্পর্কে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছিলেন। আবার একজন মনে করিয়ে দিলেন ১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ বনাম পাকিস্তানের খেলার কথা যেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ উইকেটএ ৫৪ রান করে জিতেছিল। আর তার পর থেকেই শুরু হলো বাংলাদেশের ফিরে আসা। অভিনন্দন সফিউল ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। বিশেষ করে সাকিব যখন আউট হয়েছিল তখন অনেকেই আশা ছেড়ে দিয়ে ছিলেন। তথাপি আমাদের দুই টেল এন্ডার দেখালেন চেষ্টা করলেই বিজয় অর্জিত হয়। সেই সঙ্গে ইমরুল ও তামিমকেও অভিনন্দন। এই বিজয়ের ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন তারাই। সাকিব ও মুশফিক এর আউট দুটির ক্ষেত্রে বোলার এর কৃতিত্ব বেশ।ইমরুল কায়েস এর রানআউটটি ছাড়া বড় বেশি কোন ভূল শট না খেলেনি বাংলাদেশ।
আর আজকে প্রথমেই ইংল্যান্ড এর প্রথম ব্যাটসম্যান প্রায়োর যেভাবে আউট হলেন তাতেই বোঝা যায় প্রথম থেকেই তেমন বিজয়ের জন্য আত্মপ্রত্যয়ি ছিল বাংলাদেশ। আপিল করার পরও স্ট্যাম্প তুলে নেয়ার কথা কম উইকেট রক্ষকেরই মনে থাকে। উইকেট হারানর পরেও সাহস করে শেষ দুই ব্যাটসম্যান যেভাবে খেললেন তাই বিজয়ের পথে নিয়ে গেছে বাংলাদেশের পতাকা।

চমৎকার এই ম্যাচটি বিজয়ের জন্য অভিনন্দন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। অভিনন্দন ইংল্যান্ডকেও একটি উপভোগ্য ম্যাচ উপহার দেয়ার জন্য।
চট্টগ্রাম সবসময়ই বাংলাদেশের জন্য লাকি গ্রাউন্ড বলে বিবেচিত। বাংলাদেশের বিশ্বকাপে আরো ভাল করুক আসুন এখন আমরা সবাই এই দোয়া করি।

সবকিছুর পরে বিজয়ি ক্রিকেট।

বিঃদ্রঃ কারো হাতে সময় থাকলে বিভিন্ন টেলিভিশনের বিশেষজ্ঞ ( বিশেষভাবে অজ্ঞ)গন আজ আঁতেলিয় ইংরেজিতে কি মন্তব্য করেন তার সংক্ষিপ্ত বিবরন দিলে ভাল হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন