বিজ্ঞানের একটি যুগের সমাপ্তি। অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম।
লিখেছেন লিখেছেন রিদওয়ান কবির সবুজ ১৬ মার্চ, ২০১৩, ০৭:৫২:৫৫ সন্ধ্যা
তখনও হাই স্কুলের ছাত্র। বিজ্ঞান মেলায় অংশ নিয়েছিলাম যতটা না উৎসাহে তার চেয়ে বেশি হুজুগে। মেলার সমাপ্তির দিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক পুরুস্কার বিতরন করলেন। কাঁচা পাকা চুলের আকর্ষনিয় চেহেরা। সেই সঙ্গে অতি আকর্ষনিয় কন্ঠ। বড় বড় কথা না বলে সহজ সরল ভাষায় প্রসংসা আর উৎসাহ দিলেন কচি বিজ্ঞানীদের! সবচেয়ে সুন্দর লেগেছিল তার ভাষা । খাঁটি বাংলায় কিন্তু তথাকথিত পারিভাষিক শব্দ বিহীন তার বিজ্ঞান বিষয়ক সহজ-সরল বক্তৃতা। সেই দিনই প্রথম জেনে ছিলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই অধ্যাপকের নাম। জামাল নজরুল ইসলাম। আস্তে আস্তে জানলাম আরো অনেক কিছু। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা ছেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন এই কথাটা প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। কিন্তু এইটাই ছিল সত্য।
২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯ সালে জন্ম নেন অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করে চলে যান তৎকালিন পশ্চিম পাকিস্তানের মারির লরেন্স কলেজে। সেখান থেকে সিনিয়র কেমব্রিজ উত্তির্ন হয়ে আবার আসেন কলকাতার বিখ্যাত সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। বি.এসসি উত্তির্ন হয়ে এবার পারি দেন ইংল্যান্ড এ। কেমব্রিজের ট্রিনিট্রি কলেজ থেকে ফলিত গনিত বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে ১৯৬৪ সালে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর প্রথম অধ্যাপনা শুরু করেন ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড এ। এরপর যোগ দেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অফ থিউরেটিকাল
এস্ট্রোনমিতে। ১৯৮২ পর্যন্ত প্রধানত কেমব্রিজেই কর্মরত ছিলেন। এরমাঝে কিছুদিন ক্যালিফোর্নিয়া ইনসটিটিউট অফ টেকনলজি ও লন্ডন কিংস কলেজেও অধ্যাপনা করেন। আশির দশকের শুরুতে পারিবারিক কারনে দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালিন ভাইস চ্যান্সেলর ইতিহাসবিদ ডঃ আবদুল করিমের সহায়তায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদেন তিনি। বাকি জিবন কাটিয়ে দিয়েছেন এখানেই দেশের এবং দশের সেবা করে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তার প্রতিষ্ঠিত ভৈাত ও গানিতিক বিজ্ঞান গবেষনা কেন্দ্র মূলত তার চেষ্টায় বর্তমানে একটি আন্তর্জাতিক মানের গবেষনাগারে পরিনিত হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে অবসর নিলেও আবার প্রফেসর এমেরিটাস হিসেবে যোগদেন তিনি। দেশের সমাজ ও শিক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার অবদান বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।
ডক্টর জামাল নজরুল ইসলাম আজকেই ছেড়ে চলে গেছেন আমাদের মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে। আমরা তার রুহএর মাগফিরাত কামনা করছি।
২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯ সালে জন্ম নেন অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করে চলে যান তৎকালিন পশ্চিম পাকিস্তানের মারির লরেন্স কলেজে। সেখান থেকে সিনিয়র কেমব্রিজ উত্তির্ন হয়ে আবার আসেন কলকাতার বিখ্যাত সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। বি.এসসি উত্তির্ন হয়ে এবার পারি দেন ইংল্যান্ড এ। কেমব্রিজের ট্রিনিট্রি কলেজ থেকে ফলিত গনিত বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে ১৯৬৪ সালে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর প্রথম অধ্যাপনা শুরু করেন ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড এ। এরপর যোগ দেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অফ থিউরেটিকাল
এস্ট্রোনমিতে। ১৯৮২ পর্যন্ত প্রধানত কেমব্রিজেই কর্মরত ছিলেন। এরমাঝে কিছুদিন ক্যালিফোর্নিয়া ইনসটিটিউট অফ টেকনলজি ও লন্ডন কিংস কলেজেও অধ্যাপনা করেন। আশির দশকের শুরুতে পারিবারিক কারনে দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালিন ভাইস চ্যান্সেলর ইতিহাসবিদ ডঃ আবদুল করিমের সহায়তায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদেন তিনি। বাকি জিবন কাটিয়ে দিয়েছেন এখানেই দেশের এবং দশের সেবা করে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তার প্রতিষ্ঠিত ভৈাত ও গানিতিক বিজ্ঞান গবেষনা কেন্দ্র মূলত তার চেষ্টায় বর্তমানে একটি আন্তর্জাতিক মানের গবেষনাগারে পরিনিত হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে অবসর নিলেও আবার প্রফেসর এমেরিটাস হিসেবে যোগদেন তিনি। দেশের সমাজ ও শিক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার অবদান বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।
ডক্টর জামাল নজরুল ইসলাম আজকেই ছেড়ে চলে গেছেন আমাদের মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে। আমরা তার রুহএর মাগফিরাত কামনা করছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন